রাজশাহী প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে অসহায় ভূমিহীনদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়ে উপহারের ঘরের টিন ও সিমেন্টের খুটি খুলে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আহতরা হলেন উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের নোনামাটিয়াল এলাকার মৃত আব্দুল সালামের ছেলে আতাউর রহমান (২৭), আতাউরের মা ফাতেমা বেগম (৬০), ভাতিজা তৌহিদুল ইসলাম সজীব (২০) ও বড় ভাবি মোছা. সুরমা (৩৬)।
আর অভিযুক্তরা হলেন জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহঃ সভাপতি আব্দুল রশিদ, তার দুই ছেলে যুবলীগ নেতা মো. ফারুক ও আশিক, আব্দুস ছাত্তারের
ছেলে পাপুল, এলাহী বক্সের ছেলে মিঠুন এবং দেদার মন্ডলের ছেলে জালাল উদ্দিন।
তারা সবাই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোনামাটিয়াল এলাকায় চার অসহায় পরিবারকে দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন
তদন্ত করে তাদের জন্য ঘর বরাদ্দ দেন। পরিবারগুলোর জন্য সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করে দেয়া হলে সেখানে রাস্তার জন্য বিপত্তি বাধে স্থানীয় আওয়ামী
লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের। ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল রশিদ ও তার লোকজন।
তাতে বাধা দিলে গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ১০-১৫ জন ক্যাডার নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।হামলায় আহত আতাউর রহমান বলেন, বাড়ি ভেঙে রাস্তা নিতে চায় প্রভাবশালী
চক্রটি। ইউএনও স্যর নিজে এসে জায়গা চূড়ান্ত করে আমাদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে
আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমার হাত এবং আমার মায়ের দাঁত ভেঙে গেছে। আতাউরের অভিযোগ, ঘর ভাঙচুর করে বারান্দার টিন ও সিমেন্টের
খুটি খুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত হয়ে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে হামলাকারীরা সেখানে গিয়েও হুমকি
দিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহঃ সভাপতি আব্দুল রশিদ বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। বরং আতাউর আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করেছে। এ ব্যপারে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, জমি-জায়গা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, জমির সীমানা নিয়ে দুপক্ষের ঝামেলা হয়েছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংস করে দেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Related