চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউপির কামাটোলা গ্রামের বাসিন্দা দাহারুল ইসলাম(৯০)। দাহারুল ইসলামের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। বড় ছেলে রাইনুল হক পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস,মেজো ছেলে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে বসবাস করে। বাকী দুই ছেলে প্রফেসর ইমরান ও সাইদুর রহমান শিবগঞ্জে বসবাস করেন। এলাকাবাসী জানান বৃদ্ধ দাহারুল ইসলাম বছর দুয়েক আগে ছোট ছেলে সাইদুরের বাড়িতেই ছিল। সাইদুরের বাড়ি থেকে খেয়ে সাইদুরের নামেই বদনাম করে বসে বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদে। মসজিদের মসল্লিরা খোজ খবর নিয়ে দেখে যে,সাইদুরের কোন দোষ নেই। এলাকার লোকজন বৃদ্ধ দাহারুল ইসলামকে ছা ছি করলে সাইদুরের বাড়ি থেকে সেচ্ছায় ১৫ রশিয়া মাইনুলের বাড়ি চলে যায়। কিছিুদিন পর ১৫ রশিয়ার মাইনুলের বাড়ি থেকে প্রফেসর ইমরান আলী নিজেই তাঁর বৃদ্ধ পিতা মাতাকে নিয়ে আসে নিজ বাড়িতে। ঘটনা ঘটর আগ পর্যন্ত প্রফেসর ইমরানের বাড়িতেই থাকতো বৃদ্ধ দাহারুল ও তারঁ স্ত্রী। গত ০৩/০৫/২০২৩ ইং তারিখ বের হয়ে আশ্রয় নেন আমিনুল মহরিলের বাড়িতে।
সাত সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান যার নাম রাইনুল হক, যে কিনা ঢাকায় চাকুরী করে প্লাস মুক্তিযোদ্ধা। সে সব মিলিয়ে মাসিক এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতন পায়। কিছুদিন আগে তার মেয়েকে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে কানাডা পাঠায়। ঢাকায় তার নিজস্ব ফ্লাট তবুও একটি বারের জন্য হলেও তার বাবা মাকে ঢাকায় তার নিজ ফ্লাটে নিয়ে যেতে চায়নি। ঘটনা জানা-জানি হওয়ার পর ইউএনও শিবগঞ্জ তাঁর সাথে ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করলে সে নিজেই এসব কিছু স্বিকার করেন। এমনকি বলেন বাবা মায়ের সম্পত্তি বিক্রি করে ভাগের টাকা কিছু কম পাওয়ার কথার স্বীকারোক্তিও দেন। এমনকি ইউএনওকে বলেন, বাবামাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তবে দুই এক হাজার টাকা খরচ দেয়ার চেষ্টা করব বলে জানান, তাতে ইউএনও প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত হন। কিছুদিন আগে ছোট ভাই সাইদুর রহমান শিবগঞ্জ এ ব্রিগেডিয়ার এনামুল হক মন্ত্রীর বাড়ি ক্রয় করেন, এটা সে সহ্য করতে পারেনি।
বাবামায়ের সম্পত্তির ভাগ কম হওয়া এবং ছোট দুই ভায়ের উন্নতি দেখে হিংসার বশবর্তি হয়ে সে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ভাবে সমাজে তাদের হেয় করার চেষ্টা করে আসছে। আর সেইকারণেই তারই কুবুদ্ধিতে ৬ষ্ট সন্তান মেজো বোন সেপনারা (হাইস্কুল শিক্ষক) কে হাত করে ছোট দুইভাইকে ফাঁসানোর জন্য বাবামাকে এইভাবে বাড়ি থেকে স্বইচ্ছায় বের হওয়ার পরামর্শ দেয় আর বাড়ি বাড়ি চেয়ে খাওয়া ও সাংবাদিক ডেকে ইউএনওর কাছে অভিযোগ এর পরামর্শ দেয়। যা ছোট দুই ভাই প্রচন্ডভাবে অপছন্দ করে এবং এসব না করার জন্য বাবা মাকে প্রচুর অনুরোধ করে। তবুও ক্ষান্ত না হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়ে বসে। উল্লেখ্য যে ছোট দুই ভাই প্রফেসর এমরান ও সাইদুর রহমান প্রতিনিয়ত তাদের বাবামাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে ভাল রাখার চেষ্টা করে গেছে।