সাঘাটা (গাইবান্ধা) উপজেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় এবারে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অফিস বলছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং নতুন জাতের বারি সূর্যমুখী—৩ চাষে মিলেছে বাম্পার ফলন। চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনার চরে ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছে । কৃষি গবেষণার উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সূর্যমুখীর চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন সরকার ।
উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে তার সিংহভাগ জমিই চরে পরিনত হয়েছে। অবসরে যাওয়ার প্রাক্কালেই বেছে নেন কৃষি পেশা। চরের জমিতে গম সহ নানা রবি ফসলের চাষ করে প্রতিবছর আয় করে থাকেন তিনি। সূর্যমূখীর বীজ ও তেলের দাম অন্য তেলের চেয়ে অনেক বেশী। এজন্য কৃষি গবেষণার উদ্ভাবিত উন্নত বীজ ও পরামর্শ নিয়ে এবার ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সূর্যমুখী। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা, এবারে সূর্যমূখীর ফলন ভালো হয়েছে, উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আলতাফ হোসেন । সূর্যমূখীর তেল সোয়াবিন তেলের চেয়ে পুষ্টিগুণ অনেক বেশী, স্বাস্থ্যসম্মত এবং মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার ফলন দেখে আগামীতে সূর্যমূখী চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে আশা। কৃষক মোঃ আলতাফ হোসেন সরকার বলেন, কৃষি গবেষণা অফিসের পরামর্শে এবারে ভালো ফলন হয়েছে। গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায়। গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আব্দুল্লাহ —আল —মাহমুদ বলেন, নতুন উদ্ভাবিত এই সূর্যমূখী উচ্চ ফলনশীন ও বেশী লাভজনক ফসল।