আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের শীত নিবারণের চেষ্টা,সচেতন মহলের উদ্বেগ। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তীব্র শীতে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধদের জুবুথুবু অবস্থা। বছরের শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত ভরাদুপুর পর্যন্ত সুর্যের আলোর দেখা মিলছে না। শীতার্ত মানুষগুলো কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা সুর্যের বুক চিরে পৃথিবীতে আছরে পড়া মিটিমিটি সোনালী আভা শরীরে মাখঁতে খোলা মাঠে অথবা বাসার ছাঁদে ছুটে যাচ্ছেন। আবার অনেকে শুকনো খর,পরিত্যক্ত খাতার পাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ জ্বালিয়ে শীতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখাতে নিচ্ছে নানান কৌশল। গত বৃহস্পতিবার শীতকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসা শিশু শিক্ষার্থীদের শীত থেকে রক্ষায় এবং একটু গরম উষ্ণতার আদর দিতে বিদ্যালয় মাঠে আগুন জালিয়ে দিতে দেখা গেছে আলালহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে। সেখানে দেখা গেছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আগুনে দু’হাত বাড়িয়ে শরীর গরম করছে। শিক্ষকের দেয়া সোসাল মিডিয়ায় পোস্টকৃত ছবি সচেতন মহলের দৃষ্টিতে এলে কেউ শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড় শিশুদের উপহার দেয়ার প্রয়োজনিয়তা বোধ করে কমেন্ট করেছে। পাশাপাশি আগুন থেকে বাচ্চাদের নির্দিষ্ট দুরে রাখা সহ সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেন। তাদের মধ্যে কমেন্টধারী অন্য একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম সেই শিক্ষকের এধরণের উদ্যোগ নেয়ার ঘটনাকে দেখছেন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক তীব্র ঠান্ডায় বাচ্চাদের কষ্টকর অবস্থা দেখতে না পেয়ে এবং তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কঠোর পাহারার মধ্যে শিক্ষার্থীদের গাঁ গরমের বিষয়ে মতামত ব্যাক্ত করে কমেন্টে বলেছেন আল্লাহ ভরসা। তবে ছবিতে আগুন জ্বালিয়ে বাচ্চাদের শরীরে তাপ নেয়ার সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই শিক্ষকের মমতার বহিঃপ্রকাশে মুগ্ধ হয়েছে। এব্যাপারে সচেতন অভিভাবক মহলের চাওয়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস থাকুক আর নাই থাকুক এধরণের আয়োজনে অংশগ্রহণ থেকে তাদের বিরত রাখাই শ্রেয়। এতে করে ছোট বড় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর আগুনে দগ্ধতার ঘটনা থেকে সহজেই নিজকে মুক্ত রাখা যায়।