রাজধানীর ওয়ারীর গোপীবাগে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের কোপে আলমগীর হোসেন (৪৮) নামে এক যুবলীগ নেতার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি ৩৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে গোপীবাগ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নেতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি ওয়ারী আর কে মিশন রোডে থাকেন।
আলমগীর জানান, এশার নামাজ পড়ার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হয়ে গোগীবাগ পাচানি পুকুর জামে মসজিদে যাচ্ছিলেন।
পথে বাজারের বিপরীত পাশের রাস্তায় অন্ধকারের মধ্যে বসে থাকা দু’যুবক তাকে দেখেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। বাম হাত দিয়ে সেই আঘাত ফেরাতে গেলে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ভাগিনা মো. হাবিব। তিনি জানান, রাত সোয়া আটটার দিকে খবর পেয়ে আলমগীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাম হাতের কব্জি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ডান পায়ের হাঁটুতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। কারা তাকে এভাবে কুপিয়েছে তা জানাতে পারেনি তিনি।
আহত আলমগীর হোসেনের শ্যালক মো. রাজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন আলমগীর। গত রোজার মধ্যে ইতালি প্রবাসী নাসির উদ্দিন নাসির লোকজন দিয়ে সেই বাজার দখল করে নেয়।
রাজন বলেন, নাসিরের ক্যাডার মাইকেল, রসিদ, রহি, রানা, নিজাম, রিপন বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। আজকের ঘটনা নাসিরের হুকুমেই হয়েছে। তার লোকজনই অন্ধকারে আগে থেকে ওঁৎ পেতে ছিল। অন্ধকার দেখে কাউকে চিনতে পারেননি তিনি (আলমগীর)। তবে পাশেই সিসি ক্যামেরা ছিল। ফুটেজ দেখে চিহ্নত করা যাবে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আলমগীরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা গুরুতর। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ অবস্থান করছে। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।