দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৩০৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তা-ঘাট, বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি। খবর সিএনএনের।
ভয়াবহ এই বন্যা উপকূলীয় শহর ডারবানসহ কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের প্রায় পুরো অঞ্চলজুড়েই আঘাত হেনেছে। বেশ কয়েকটি বার্তাসংস্থার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বন্যাকবলিত এলাকার রাস্তাগুলোতে গভীর ফাটল দেখা দিয়েছে আর শিপিং কনটেইনারের একটি বিশাল স্তুপ কর্দমাক্ত পানির ভেতরেই ভেঙে পড়েছে। ডারবানের কাছে একটি সেতুও ভেসে গেছে, ফলে দু’পাশে আটকা পড়েছে বহু মানুষ।
আঞ্চলিক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণ হারানো সকলের পরিবারের শোকের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এছাড়া বন্যায় আটকে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সরিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলগুলোর প্রশংসাও করেন তারা।
কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের সরকার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, বিপর্যয়কর এই বন্যা ও প্রাণহানির ঘটনা প্রদেশের ‘ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি’।
এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ডারবানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় কাদার স্রোত শুরু হয়। ওই এলাকায় বহু মানুষ আটকা পড়েন কাদার স্রোতেই। মানুষের পাশাপাশি দুর্যোগপীড়িত এলাকার বহু ঘর-বাড়িও কাদার স্রোতের নিচে আটকা পড়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ডারবানে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, এক নাগাড়ে বৃষ্টি, সেই সঙ্গে কাদার স্রোতে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করায় উদ্ধার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা করা হলেও দৃশ্যমানতার স্বল্পতার কারণে বারবার তা বাধাগ্রস্থ হয়েছে।